
লক্ষ্মীপুর সদর থানা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্টাফ রির্পোটার আব্বাছ হোসেনকে গুলি করে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ নভেম্বর বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে দুই ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচিতে জেলা রিপোর্টাস ইউনিটি,রিপোর্টাস ক্লাব, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক নির্যাতন সেল, প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশন, লক্ষ্মীপুর এসোসিয়েশন অব ব্লাড ডোনেটিং অর্গানাইজেশনস ও সিসিএসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অংশ গ্রহণ করেন।
লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জহির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জহিরুল ইসলাম শিবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার,সাবেক সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক, সাবেক সহ-সভাপতি এমজে আলম,সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, সিনিয়র সাংবাদিক মহিউদ্দিন ভূইয়া মুরাদ, হোসাইন আহমদ শাহজাহান, নিজাম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান সবুজ, মাসুদুর রহমান খাঁন ভু্ট্টু, জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম. প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রানা, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী হোসেন,সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন, রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি বেলাল উদ্দিন সাগর, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেরুল হাসান রাজুসহ আরো অনেকেই।
এসময় দৈনিক লক্ষ্মীপুরের কথা পত্রিকার সম্পাদক রাকিব হোসেন সোহেল সহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের পাশাপাশি নানা শ্রেনী পেশার মানুষ এই কর্মসুচিতে অংশ নেয়। আব্বাছ হোসেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ছাড়াও লক্ষ্মীপুর থেকে নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক মেঘনার তীর পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদক ও আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
এসময় বক্তব্যরা বলেন, লক্ষ্মীপুরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন, মাদক-অনিয়ম ও দূনীর্তি ও আইনশৃংখলার উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিনের ইটভাটার অভিযান,সন্ত্রাসীও মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার কারনে এমন হুমকি আসতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু হুমকি-ধমকি দিয়ে সাংবাদিকের কলম বন্ধ করা যাবেনা।
রিপোর্ট থামানোর জন্য কোনো হুমকি কাজে আসার সুযোগ নেই বলে মনে করেন সাংবাদিক সমাজ। তাই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের চিহিৃত করা না হলে আরো কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন সাংবাদিক নেতারা। অনতিবিলম্ভে জড়িতদের চিহিৃত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়েছে। হুমকিদাতাকে চিহিৃত করে গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হুমকিদাতাকে চিহিৃত করার কাজ চলছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় পুলিশ সবসময় পাশে আছে এবং থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক আব্বাছ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক মোবাইল নাম্বার থেকে তাকে ও পরিবারের লোকজনকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পরে ওইদিন রাতে এই ঘটনায় সাংবাদিক নিজেই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
