ধর্ষণকারী মালেক কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

লেখক: Admin
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

মো: হোসেন চৌধুরী

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ পশ্চিম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়াডে রুবিনা আক্তার(৪৫) ধর্ষিত হয়।গত ০৮/১২/২০২৪ ইং তারিখে সদর মডেল থানায় রুবিনা আক্তার বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। উক্ত দায়ের করা অভিযোগের আলোকে পরবর্তী তদন্ত পুর্বক ৯(১) ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন( আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০) ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষনের মামলা রুজু করেন।

ঐ মামলার অভিযুক্ত কারী হলেন, আবদুল মালেক পিতা মৃত আবদুল হক। জানা গেছে তার ঠিকানা লক্ষ্মীপুর জেলার সদরে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর। বাদি রুবিনা আক্তার একই গ্রামের পশ্চিম লক্ষীপুর পৌরসভা ১৫ ওয়ার্ড বাসিন্দা।

ভূক্তভোগী রুবিনা  আক্তার বলেন, আমার স্বামী আব্দুস শহিদ গত বছর ২০২৪ ইং সালে রমজান মাসে মৃত্যু বরন করেন।এক ছেলে কে নিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছি, ধার দেনা করে আমার ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি, রুবিনার এছেলে বিবাহিত, এক সন্তানের জনক।

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আবদুল হকের ছেলে আবদুল মালেক বিভিন্ন সময়ে কু প্রস্তাব করে আসছে, সামাজিক পারিবারিক ও লোকচক্ষু লজ্জায় বিষয়টি গোপন করে আসছি, গত ১৩/০৯/২০২৪ ইং তারিখে আবদুল মালেকের বাড়ির ছাদে ধান শুকাতে গেলে নিরিবিলি পেয়ে আমাকে তার ঘরে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে।

যা আমি এযহারে উল্লেখ করেছি।আমি আমার এলাকায় গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গদের সহ এলাকার স্থানীয় লোকজনের নিকট এবিষয়ে অভিযোগ  করি।কিন্তু আবদুল মালেক একজন দুষ্ট ও প্রভাবশালী, যার ফলে তার বিরুদ্ধে এলাকার স্থানীয় প্রতিবেশীরা কেউ মুখ খুলছেন না। নিরুপায় হয়ে বিচার দাবি প্রার্থনা করে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম।

এই বিষয়ে লক্ষীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুল মুন্নাফ সাথে যেগাযোগ করলে তিনি মামলার রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৩/ ৫১০ মামলার আয়ু এস আই ফজলুল হক। সদর থানা লক্ষ্মীপুর দায়িত্ব পান, আমাদের প্রতিনিধি অভিযুক্ত মালেক মামলা রুজুর এতোদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফজলুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মামলার বিবাদী আবদুল মালেক কে গ্রেফতার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতেছি আমরা ওর সীম নাম্বার ট্রেকিং করছি কিন্তু ওর নাম্বার বন্ধ পেয়েছি।

খবর পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করছিলাম কিন্তু সে কিভাবে খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে।তাকে আইনের আওয়াতায় আনার জন্য সবসময় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি আশা করি খুব শীগ্রই দ্রুত  তাকে খোঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে।মামলার ১ম সাক্ষী মো:তাকবির হোসেন জানান, আমি মামলার ১ম সাক্ষী হওয়াতে আবদুল মালেক  আমার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজীর মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

তাকবির হোসেন আরও জানান, আবদুল মালেক বিভিন্ন সন্ত্রাসী মহলের মাধ্যমে হয়রানি সহ হুমকি মামলা মেকাদ্দমার ভয় ভিতি প্রদর্শন করে আসছে প্রতিনিয়ত। আমি এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুকতেছি।এলাকায় খোজ খবর নিয়ে জানা যায় মালেক একজন চরিত্র হীন লোক।

সে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে বিভিন্ন সময় জড়িত ছিলেন। তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্মে এলাকার কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি সাহায্য করতো। বুদ্ধি পরামর্শ দিতো, তাদের ইন্ধনে আবদুল মালেক বিভিন্ন সময় অপকর্ম করার সাহস পেতো, বিনিময়ে তার থেকে আর্থিক সুবিধা নিতো। সামাজিক ও নিরীহ জনগণ চায় আবদুল মালেক এর মত লোকের শাস্তি হোক। যদি সঠিক বিচার হয় তাহলে সমাজে এরকম অশ্লিল অপরাধ করার সাহস কেউ পাবে না।

📢 আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবর:

👉 বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন